চন্দ্রকোনা: অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের চাল ডালে কিলবিল করছে পোকা। বস্তায় পড়ে থেকে থেকে খাদ্য সামগ্রী নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। আবার সেই সামগ্রী দিয়ে তৈরি খাবারই বিতরণ করা হচ্ছে শিশু ও প্রসূতি মহিলাদের। যা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এলাকাজুড়ে। এই ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ২ নম্বর ব্লকের কুঁয়াপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্যামগঞ্জ গ্রামের ৬৯ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের।
অস্বাস্থ্যকর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র ও তাতে রান্নার জন্য নষ্ট হতে বসা খাবারের সামগ্রী ব্যবহারে ক্ষুব্ধ অভিভাবক থেকে এলাকাবাসী। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শিক্ষিকার কাছে ক্ষোভ উগরে দেন তারা।এনিয়ে শিক্ষিকার সঙ্গে বাকবিতন্ডা ও বচসায় জড়িয়ে পড়েন ক্ষুব্ধ অভিভাবক থেকে এলাকাবাসী। শুধু তাই নয়, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে শিশুদের পড়াশোনা করানো হয়না বলেও অভিযোগ তুলেছেন অভিভাবকরা। জানা গিয়েছে, এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে মোট ৮২ জন পড়ুয়া ও প্রসূতি মহিলার জন্য খাবার রান্না হয়। বর্তমানে একজন শিক্ষিকা রয়েছেন,বেশ কয়েক মাস যাবত নেই কোনো সহায়িকা বা রাঁধুনি।
আরও পড়ুন: তৃণমূলের মঞ্চ খুলে দিল সেনা, মেয়ো রোডে মমতা
অন্যদিকে, স্থায়ী সহায়িকা বা রাঁধুনি না থাকায় শিক্ষিকার একার পক্ষে সবদিক দেখভাল করতে গিয়ে পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটছে বলে জানা গিয়েছে। শিক্ষিকার দাবি, ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করেই তারপর রান্না করা হয়, একবারে তিন চার মাসের চাল ডাল দিয়ে চলে যায় সাপ্লাইয়ার। এছাড়াও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে নেই কোনো সহায়িকা বা রাঁধুনি শিক্ষিকা তার নিজের টাকা থেকেই একজন রাঁধুনি রেখে রান্নার কাজ চালান।গোটা ঘটনায় ক্ষুব্ধ অভিভাবক থেকে এলাকাবাসী। তাঁদের দাবি, এভাবে অস্বাস্থ্যকর খাবার শিশুদের ও প্রসূতি মহিলাদের দেওয়া হলে তারা তো অসুস্থ হয়ে পড়বেন। এলাকাবাসীরা বলেন, এই বিষয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় জানিয়েও কোনো সুরাহা মেলেনি।
অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে শিশুদের পুষ্টিকর খাবার দেওয়ার কথা সেখানে এভাবে অস্বাস্থ্যকর খাবারের সামগ্রী দিয়ে রান্না করে তা শিশু ও প্রসূতি মহিলাদের বিতরণ কতোটা ঝুঁকিপুর্ন তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। যদিও এবিষয়ে চন্দ্রকোনা ২ ব্লক অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সুপারভাইজার বলেন, “আমি এই বিষয়ে অবগত নই। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং সিডিপিও’কেও জানানো হবে।”
দেখুন খবর: